প্রকাশিত: Fri, Dec 8, 2023 10:09 PM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 8:11 PM

‘নতুন কারিকুলাম’ নিয়ে গুজবের দিন শেষ

আরিফ মিয়াজী : ‘নতুন কারিকুলাম’ নিয়ে ছড়ানো গুজবের নিউজ ও ভিডিওগুলো বেশির ভাগই এখন আর কারো ওয়ালে পাওয়া যাচ্ছে না, অনেকেই ক্ষমাও চেয়েছেন ইতোমধ্যেই, এটা আমাদের জন্য আরেকটা সুসংবাদ। এই কাজ অনেক চ্যালেঞ্জের ছিলো, পরিশ্রমের ছিলো। যখন দেশের নব্বই শতাংশের বেশি মানুষ ‘গুজব’-এ আসক্ত তখন তাদের বিরুদ্ধে গিয়ে এক লাইন লেখা কেমন প্রতিকূল সেটা তারাই বুঝবেন যারা এ জাতীয় সংগ্রামে ছিলেন। মানুষের চন্দ্রগমন, হেফাজত ইস্যু, করোনা এবং সবশেষে নতুন কারিকুলামÑ এসব এক একটা ‘সিডর’-এর মতো ছড়িয়ে পড়েছে জনসাধারণের মাঝে। এই ইস্যুগুলো যখন এসেছে তখন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বহু উচ্চশিক্ষিত মানুষ গা ভাসিয়েছে। আমাদের লড়াই সবার সাথে ছিলো, বিশেষত সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিতজনদের সাথে এ লড়াই ছিলো বেশি কঠিন, কারণ এরা মারাত্মক রকমের অপজ্ঞান আর কুযুক্তি দিয়ে গুজব আর প্রপাগাণ্ডা এস্টাবলিশ করে ফেলে, সমাজে তাদের যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, সেটাকে পুঁজি করে।

গুজব, প্রপাগাণ্ডা, অপপ্রচারÑ এটা বিশ্বব্যাপী একটা কমন ব্যাধি। এ ব্যাধিতে যেকোনো দেশের মেজরিটি মানুষ আক্রান্ত হয়, এমনকি আমেরিকার মতো দেশেও। কিন্তু যেকোনো দেশের অগ্রসরমান তরুণদের একটি অংশ এ ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করে মানুষকে সত্য জানানোর কাজে সচেতনতা তৈরির কাজ করে। জনমানসের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে গিয়ে নানাদেশের অগ্রসরমান তরুণরা নানাভাবে নিপীড়িত, নিগৃহীত, সমাজচ্যুত এমনকি কারো কারো প্রাণও যায়, তবুও সত্য প্রতিষ্ঠার কাজ থেমে থাকে না। কিন্তু সমস্যা হয়, একটা সত্য প্রতিষ্ঠা করার পর আবারও দশটা মিথ্যার ডালপালা ছড়িয়ে দেওয়া হয় সুকৌশলে, কায়েমি, মৌলবাদী, বুর্জোয়া এবং রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলো দ্বারা। এদের একটা কমন মিল হচ্ছে, এরা সবাই মোটামুটি কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং এরা প্রথাগত বিশ্বাস দিয়ে  জনমানসের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বয়ান নির্মাণ করিয়ে দেয়। তৃতীয় বিশ্বে এদের একসময় ‘বামপন্থী কমিউনিস্ট’রা প্রতিহত করতো কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন বামপন্থী কমিউনিস্টদের বেশিরভাগ-ই এদের দ্বারা ব্রেইন ওয়াশড।